আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার সূত্র

আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার সূত্র

আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার সূত্র

বৈপ্লবিক এক তত্ত্ব যা সময়, স্থান ও গতিকে এক নতুন মাত্রা দেয়

বিশ্লেষণ

আইনস্টাইন ১৯০৫ সালে বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব (Special Relativity) এবং পরে ১৯১৫ সালে সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব (General Relativity) উপস্থাপন করেন। এর মূল বক্তব্য হলো— সময় ও স্থান স্থির নয়, বরং তা পর্যবেক্ষকের গতি ও মহাকর্ষ বলের উপর নির্ভর করে।

বিখ্যাত সমীকরণ:

E = mc² — এটি আইনস্টাইনের সবচেয়ে জনপ্রিয় সমীকরণ, যা বলে যে শক্তি (E) এবং ভর (mass) একে অপরের রূপান্তর। এখানে c হলো আলোর গতি (প্রায় ৩ লাখ কিমি/সেকেন্ড)।

উদাহরণ:

ধরুন আপনি একটি মহাকাশযানে বসে আলোর গতির খুব কাছাকাছি গতি (0.9c) তে চলছেন। তখন আপনার ঘড়িতে ১ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও পৃথিবীতে হয়তো প্রায় ২.৩ ঘন্টা পেরিয়ে যাবে! এটাই টাইম ডাইলেেশন (Time Dilation) — সময়ের ধীর গতি।

প্রয়োগক্ষেত্র

  • GPS স্যাটেলাইট: আপেক্ষিকতার তত্ত্ব ব্যবহার না করলে GPS সময় গণনায় বড় ভুল করতো।
  • পারমাণবিক শক্তি: E=mc² সূত্র অনুযায়ী পারমাণবিক বোমা ও বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাখ্যা করা যায়।
  • ব্ল্যাক হোল গবেষণা: সাধারণ আপেক্ষিকতা ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্ব ব্যাখ্যা করে।

তথ্যসূত্র

© 2025 Curious Pen | লিখেছেন: Dipankar Biswas

Comments

Popular posts from this blog

কোয়ান্টাম বাস্তবতা ও হোলোগ্রাফিক বিশ্ব

Physics Timeline: From Ancient to Quantum